28 January 2019

সেই প্রিয়া এখন দুই কোটি হাঁকান!


প্রথম ছবিটিই এখনো মুক্তি পায়নি প্রিয়া প্রকাশ ভারিয়ারের। এরই মধ্যে তাঁকে নিয়ে একের পর এক খবর প্রকাশিত হচ্ছে। এক চোখের ইশারায় ভারতবর্ষ মাতানো নবাগত এই নায়িকা সম্প্রতি এক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সম্মানী চেয়েছেন দুই কোটি রুপি। শুনে রীতিমতো ভিরমি খেতে বসেছিলেন প্রযোজক।

প্রিয়া প্রকাশ অভিনীত মালয়ালাম ছবি ‘উরু আডার লাভ’ মুক্তি পাবে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে। ছবিটির টিজার হিসেবে অনলাইনে মুক্তি পায় ওই ছবির গানের একটি বিশেষ দৃশ্যে। সেখানে এক চোখের রোমান্টিক ইশারার দৃশ্যটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। এরই মধ্যে বলিউডে অভিষেকের তোড়জোড় চলছে তাঁর। জনপ্রিয় এক নায়িকার চরিত্র নিয়ে বলিউড ছবি ‘শ্রীদেবী বাংলো’য় অভিনয় করতে যাচ্ছেন তিনি। সেখানেও চমক। ছবির নাম ও টিজার প্রকাশের পর আবারও আলোচনায় এসেছেন প্রিয়া। শ্রীদেবীর স্বামী বনি কাপুর ছবিটির প্রযোজক, পরিচালক, অভিনয়শিল্পীসহ সবার নামে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন। কেননা, ‘শ্রীদেবী বাংলো’র টিজার দেখে তাঁর মনে হয়েছে, ছবির গল্পটি শ্রীদেবীকে ঘিরে।

সেখানেই শেষ নয়। শোনা যাচ্ছে তেলেগু পরিচালক বিক্রম কুমার তাঁর পরের ছবির প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন প্রিয়াকে আর সেই ছবির প্রধান চরিত্রে থাকবেন তেলেগু নায়ক ন্যানি। ছবির জন্য অডিশন ও প্রাথমিক পরীক্ষা দিয়ে ফেলেছেন প্রিয়া। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নিজের প্রথম তেলেগু ছবিটির শুটিং তিনি শুরু করবেন ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই।

এরই মধ্যে প্রযোজক দিল রাজু একটি ছবির প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রিয়াকে। একের পর এক ছবিতে কাজ করার প্রস্তাব পেয়ে প্রিয়া রীতিমতো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছেন। শুরুতে তাই রাজুর কাছে সম্মানী হিসেবে তিনি দুই কোটি রুপি দাবি করেছিলেন। পরে অবশ্য বাস্তবতা বুঝে সম্মানীর পরিমাণ কমিয়েছেন তিনি। হয়তো সবাই তাঁকে বুঝিয়ে বলেছেন, শুরুতে এত টাকা সম্মানী চাইতে নেই।
সূত্রঃ ইন্ডিয়া টুডে

11 March 2014

‘রেইনকোট’ চলচ্চিত্রে অপর্ণা ঘোষ

এ সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী অপর্ণা ঘোষ। বর্তমানে ধারাবাহিক ও খণ্ড নাটক নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। অভিনয় করছেন চলচ্চিত্রেও। এসব বিষয়ে তার সঙ্গে আলাপচারিতা...
বর্তমান ব্যস্ততা...
শাফায়েত মনসুর রানার ‘ইচ্ছেঘুড়ি’ ও জাহাঙ্গীর আলম সুমনের ‘ভালবাসা কারে কয়’ ধারাবাহিকের শুটিং করছি।
চলচ্চিত্র...
আমার নতুন ছবি জাহিদুর রহিম অঞ্জনের ‘রেইনকোট’। ছবির শুটিং শেষ। এখন পোস্ট প্রোডাকশন চলছে। এ চলচ্চিত্রের গল্পটি মূলত মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক। শৈশব থেকেই মুক্তিযুদ্ধের গল্পের প্রতি আমার প্রবল আগ্রহ। এখনও সুযোগ পেলে গুরুজনদের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা শুনি। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক নানা প্রামাণ্য, বই-পুস্তক সংগ্রহ করি। তাই এরকম একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে নিজেকে ভীষণ সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে।
ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা...
বিজ্ঞাপন, নাটক ও চলচ্চিত্র যেখানেই অভিনয় করি না কেন, সব মিলিয়ে নিজেকে একজন অভিনেত্রী ভাবতেই ভালো লাগে। তবে নাটকে অভিনয় করেই বেশি আনন্দ পাই। আর চলচ্চিত্রে অভিনয় করাটা স্বপ্নের মতো। নিজেকে বড় পর্দায় দেখার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
বিয়ে নিয়ে ভাবনা...
বিয়ে নিয়ে খুব বেশি ভাবছি না। তবে আমার জন্য বাসা থেকেও পাত্র খোঁজা হচ্ছে। মনের মতো পাত্র পেলেই বিয়ে করে ফেলব।

23 January 2014

উত্তমের মতো সুচিত্রাকেও কোনো দিন ভুলব না

শেওড়াফুলির একটা হলে উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেন অভিনীত 'অগি্নপরীক্ষা' ছবিটি দেখতে গিয়েছিলাম। তা ১৯৫৪ সালের কথা। সেই সময় ওই ছবিটি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে বিরাট উন্মাদনার সৃষ্টি হয়েছিল। হলের বাইরে প্রচ- ভিড়। টিকিটের জন্য হাহাকার। আমার সঙ্গে আরো কয়েকজন ছিলেন। হুড়োহুড়ির মধ্য দিয়ে কোনোরকমে টিকিট জোগাড় করে ছবিটি দেখলাম। বেশ ভালো লেগেছিল 'অগি্নপরীক্ষা'। এরপর বেশ কিছু দিন উত্তম-সুচিত্রার রোমান্টিসিজম আমাকে ঘিরে রেখেছিল। রমাদির সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় সিঁথির মোড়ে এমপি স্টুডিওতে। তখন 'সাড়ে চুয়াত্তর' ছবির শুটিং চলছে। সুচিত্রা সেনের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিলেন পরিচালক নির্মল দে। নির্মল দার 'বসু পরিবার' ছবিতে আমি প্রথম কাজ করেছিলাম। যা হোক, রমাদির সঙ্গে তো আলাপ হলো। ভদ্র মহিলার সৌন্দর্যের থেকে ব্যক্তিত্বই আমাকে আকর্ষণ করেছিল বেশি। এরপর ধীরে ধীরে তার সঙ্গে আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাকে আমি রমাদি বলেই ডাকতাম। তাকে নিয়ে এ মুহূর্তে কত কথাই না মনে পড়ছে। একবার চাঁদিপুরে 'হার মানা হার' ছবিতে আমি অভিনয় করিনি। তবে সেখানে উত্তমের সঙ্গে এমনিই গিয়েছিলাম। দুপুরের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা চলছে। উত্তম বায়না ধরল চাইনিজ খাবে। চাইনিজ রান্নার ভার পড়ল আমার ওপর। খাওয়ার পরে আমরা বিশ্রাম নিই। ধীরে ধীরে বেলা পড়ে আসে। তাই উত্তম সোজা দোতলায় উঠে গেল। বেশ খানিকক্ষণ পর আমি দোতলায় যাই। সেখানে গিয়ে দেখি চা পানের বিশাল আয়োজন। গান-টান হচ্ছে। উত্তম আর রমাদি একসঙ্গে নাচতে লাগল। রমাদি নাচতে নাচতেই আমাকে বলল, 'কী উত্তমের সঙ্গে আমাকে এ অবস্থায় দেখে তোমার হিংসে হচ্ছে না তো?' রমাদির কথা শুনে আমি হেসে ফেললাম। তারপর বললাম, বহুদিন থেকেই তোমাদের দেখছি। তোমাদের প্রেম, তোমাদের ভালোবাসা, তোমাদের বিরহ, তোমাদের নাচ-গান, তোমাদের পরস্পরের কাছাকাছি আসা পর্দায় দেখে দেখে আমার চোখ সয়ে গেছে। আমার মনে হয় সুচিত্রা-উত্তমের পর্দার ক্যামিস্ট্রি সব জাগতিক চাওয়া-পাওয়ার ঊধর্ে্ব। আসলে ওরা দুজন খুব ভালো বন্ধু ছিল। আমাদের ময়রা স্ট্রিটের বাড়িতে রমাদি কতবার এসেছেন! আমরা তিনজন একসঙ্গে অসংখ্যবার লাঞ্চ করেছি, ডিনার করেছি এবং আড্ডা মেরেছি। আমি বেশ কবার রমাদির বাড়িতেও গিয়েছি।
হার্ট অ্যাটাকের পর উত্তম একবার খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। ওই সময় 'গৃহদাহ' ছবির ডাবিং চলছিল। উত্তম অসুস্থতার মধ্যেও 'গৃহদাহ'র পরিচালক সুবোধ মিত্রকে শিডিউল দিয়েছিল। ছবিটা ছিল উত্তমের হোম প্রোডাকশন্সের। তাই ছবিটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিলিজ করার ব্যাপারে ওর খুব চিন্তা ছিল। রমাদি প্রায়ই ময়রা স্ট্রিটের বাড়িতে এসে উত্তমকে দেখে যেত। আর সাবধান করে যেত, 'আমি বলে যাচ্ছি, এই অসুস্থ শরীরে তুমি শুটিং-ডাবিং কিছুই করবে না। যদি জানতে পারি তুমি স্টুডিওতে গিয়েছ, তাহলে কিন্তু সাংঘাতিক কা- ঘটিয়ে বসব।' রমাদির জন্মদিনে প্রতি বছর উত্তম ও আমি নিয়ম করে তাকে ফুল পাঠাতাম। এমন একটা বছরও হয়নি, রমাদির জন্মদিনে আমি উইশ করিনি। শুধু অভিনেত্রী হিসেবে নয়, রমাদি মানুষ হিসেবেও যথেষ্ট খোলা মনের ছিলেন। তার মতো অভিনেত্রী ভারতীয় চলচ্চিত্রে বিরল। সত্যি কথা বলতে কী, অভিনয়ের একটা অন্যরকম সংজ্ঞা তিনি তৈরি করে দিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি যেখানেই থাকুন শান্তিতে থাকুন। উত্তমের মতো তাকেও আমরা কোনো দিন ভুলব না।
- সুপ্রিয়া দেবী

13 January 2014

প্রধানমন্ত্রীর আকস্মিক উপহার ফরিদুর রেজা সাগরকে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রিপরিষদ শপথ নিলেন। বঙ্গভবনের পরিবেশ তখন উৎসবমুখর। গিজগিজ করছে অভ্যাগত দেশী-বিদেশী অতিথি। প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সব সদস্য তখন দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। এক ফাঁকে প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা চ্যানেল আই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগর ও চ্যানেল আই-এর পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজকে নিয়ে যান প্রধানমন্ত্রীর সামনে। উষ্ণ সম্ভাষণ বিনিময় হয় তাদের মাঝে। এ শুভেচ্ছা বিনিময়ের ভেতরই ফরিদুর রেজা সাগরের চোখ চলে যায় প্রধানমন্ত্রীর শাড়িতে লাগানো নৌকাখচিত সোনালি ব্রুশটির দিকে। বলেই ফেললেন, ‘আপা এটি খুব সুন্দর।’ প্রধানমন্ত্রীও যেন তাৎক্ষণিক আদরের ভাইটির অন্যরকম এক আবদারমাখা প্রশংসার জবাব দিয়ে দিলেন। বললেন, ‘পছন্দ? পছন্দ হলে নাও।’ তারপর প্রধানমন্ত্রী তার ব্রুশটি খুলে দিয়ে দিলেন ফরিদুর রেজা সাগরকে। উপস্থিত অন্যরা এ দৃশ্য দেখে আনন্দিত, বিস্মিত।