বেজায় চটেছেন সামিনা চৌধুরী। সদা সোজা-সাপ্টা কথা বলা এ সংগীত তারকাকে এমনিতেই দারুণ সমীহ করে চলেন সংগীত সংশ্লিষ্টরা। অবস্থান ভেদে সমীহের রূপ বদলালেও সিনিয়র থেকে জুনিয়র পর্যন্ত প্রায় সবাই সামিনার সোজা-সাপ্টা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। যার ফলে অন্য শিল্পীদের সঙ্গে যেমন তেমন সামিনা চৌধুরীর সঙ্গে কথা আর কাজের ব্যত্যয় ঘটানো মানেই বিপদ। এর পরেও ইন্ডাস্ট্রির নানামাত্রিক প্রযোজক, সুরকার, আয়োজকের কাছ থেকে নিস্তার মিলছে না কোনভাবেই। এ নিয়ে দারুণ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন এই স্বনামধন্য শিল্পী। সমপ্রতি কথা দিয়ে কথা না রাখার মতো পরপর তিনটি ঘটনা ঘটেছে সামিনার ক্যারিয়ারে। যার সর্বশেষ শিকার হয়েছেন জনপ্রিয় গীতিকার সুরকার প্রিন্স মাহমুদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে। প্রিন্স মাহমুদ নিজের মতো করে অনেক দিন ধরেই গান করছেন কুমার বিশ্বজিৎ-এর একটি অ্যালবামের। প্রথমে এটি ছিল একক, নাম ছিল 'মেঘনীলা'। পরে সেটাকে ভেঙে কুমার বিশ্বজিৎ-এর সঙ্গে যোগ করেন সংগীতের জনপ্রিয় দুই বোন ফাহমিদা নবী ও সামিনা চৌধুরীর গান। এ নিয়ে শেষ ক'মাস বিচ্ছিন্নভাবে নানা সংবাদ প্রকাশ হলেও বরাবরই অস্বীকার করে আসছিলেন সামিনা চৌধুরী। তিনি হলফ করেই বলেছেন, না প্রিন্সের সঙ্গে এ ধরনের কোন আলাপই আমার সঙ্গে হয়নি। এটা ভুল তথ্য। আমি এমন কোন অ্যালবামে গাইছি না। সামিনার এমন কথার বিপরীতে গেল সপ্তাহে সর্বশেষ প্রিন্স মাহমুদ সে অ্যালবামটির নতুন নাম ঘোষণা দেন। যার নাম 'বন্ধু গো শোন'। সঙ্গে এও হলফ করে বলেন, এ অ্যালবামে সামিনা চৌধুরীর গানও থাকছে। প্রিন্স মাহমুদের এমন ঘোষণার পর আবারও এ বিষয়ে সামিনার দৃষ্টিপাত করলে একরকম অসহায়ের সুরেই তিনি বলেন, আমি আসলে কি করবো? কার কাছে যাবো। প্রিন্সের কাছে আমার গান থাকতেই পারে। তার মানে তো এই নয়, আমার অবর্তমানে যখন তখন একটা অ্যালবাম তৈরি করবে এবং সেই সংবাদ পত্রিকা থেকে আমাকে জানতে হবে। এটাতো স্বাভাবিক সৌজন্যতার ব্যাপার। সামিনা চৌধুরী শুধু এখানেই ক্ষুব্ধ নন। তিনি আরও ক্ষেপে আছেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সংগীতা এবং অ্যালবাম প্রযোজক নোমান রবিনের ওপরও। এর মধ্যে সংগীতা 'ইত্যাদি'তে প্রচারিত একটি গান দিয়ে সামিনা চৌধুরীর একক অ্যালবাম হিসেবে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করে কোন প্রকার আলাপ ছাড়াই। অন্যদিকে নোমান রবিনের প্রযোজনায় লেজার ভিশনের পরিবেশনায় 'বৃষ্টির গান' শীর্ষক একটি মিশ্র অ্যালবামের গান গাইলেও তার সম্মানী উদ্ধার করতে পারছেন না গেল প্রায় মাস ছয়েক ধরে। সামিনা বলেন, নোমান রবিনের কাছে আমি এখনও সাড়ে তিন লাখ টাকা পাবো। অ্যালবাম রিলিজ হয়ে গেছে। এখন আর রবিনকে খুঁজে পাচ্ছি না। অথচ এ অ্যালবামে গান করার জন্য ও আমার পায়ে পর্যন্ত পড়েছে। পরে চুক্তিপত্র করে গাইলাম। আর এখন নাকি ও বাইরে বলে বেড়াচ্ছে আমি টাকা ছাড়া কিছু বুঝি না। এখন চাইলে মামলা করতে পারি। লাভ কি? অন্যদিকে সংগীতা যা করেছে সেটা আরও দুঃখজনক।
'বন্ধু গো শোন' এলবামটি সংগ্রহ করার জন্য খুব ইচ্ছা করছে। আর এতসব খবরাখবর যে অন্দরমহলে ঘটে যায়, আমরা তো জানতামই না।
ReplyDeleteশেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
aR
Bangla Blog Tips