03 October 2009

চ্যানেল আইয়ের জন্মদিনে আনন্দের বন্যা


'মানুষের বয়স যত বাড়ে তত সে প্রবীণ হয়। আর প্রতিষ্ঠানের বয়স যত বাড়ে তত সে তরুণ হয়। চ্যানেল আই ১১ বছরের এক তরুণ বয়সে পদার্পণ করল। তাদের জন্য রইল আমার শুভেচ্ছ।' গতকাল চ্যানেল আইয়ের জন্মদিনে প্রতিষ্ঠান কার্যালয়ে শুভেচ্ছা জানাতে এসে কথাটি বলেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। এই 'তরুণ' চ্যানেলটিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে বিভিন্ন রাজনীতিক, কূটনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মীরা দিনভর উপস্থিত হন চ্যানেলটির তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে।

কার্যালয়ের সামনের বিস্তৃত লনে জমকালো মঞ্চে লাল-সবুজ রঙ দিয়ে লেখা ছিল - '১১ বছরে আমার চ্যানেল আই'। সকাল থেকে এ মঞ্চে নেচে-গেয়ে ১১তম জন্মদিনটি মাতিয়ে রাখেন দেশের খ্যাতিমান শিল্পীরা। খুরশীদ আলম, ফকীর আলমগীর, এসডি রুবেল, বিপ্লব, পলাশ, আগুন, ফাহমিদা নবী, চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ, ক্ষুদে গান রাজ এবং সুর দরিয়া এপার-ওপারের সঙ্গীত শিল্পীরা একে একে গান গেয়ে শোনান। জন্মদিনের সব আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করেছে চ্যানেল আই।

জন্মদিনের উৎসবের সূচনা হয় সকাল ১০টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর প্রাঙ্গণ থেকে। সেখান থেকে শুরু হওয়া বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। শুধু আনন্দ-উৎসব নয়, জন্মদিনে চ্যানেল আই এক মানবিক উদ্যোগও গ্রহণ করে। অভিনেতা চ্যালেঞ্জারের চিকিৎসা ব্যয় জোগানের জন্য একটি তহবিল গঠন করা হয়। ১১ বছরে পদার্পণ নিয়ে চ্যানেলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, 'আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। দর্শকের প্রত্যাশাও বেড়েছে। আমরা সেই প্রত্যাশা পূরণে কাজ করে যাব প্রতিনিয়ত।'

সন্ধ্যায় জন্মদিনের বিশাল কেক কাটেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এই কেক কাটার মাধ্যমেই গোটা দিনের আনন্দ আসরের হাট ভাঙে। ঢাকার বাইরের চট্টগ্রাম ও রংপুরেও আয়োজন করা হয়েছিল জন্মদিন উৎযাপনের বিশেষ আয়োজন। ১৯৯৯ সালের ১ অক্টোবর এই বেসরকারি টিভি চ্যানেলটি বাংলা ভাষার প্রথম ডিজিটাল স্যাটেলাইট চ্যানেল হিসেবে তাদের সম্প্রচার শুরু করে।

No comments:

Post a Comment