মাসখানেক আগে রায়হান খানের এক নাটকের কাজে ব্যাংকক গিয়েছি। সঙ্গে মোশাররফ করিম, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, হিলেস্নাল, সকাল আহমেদ, চাঁদনী, নোভা, নওশীন। সবাই হোটেলে উঠেছি। দুপুরে আমি, চাঁদনী আপু, নওশীন খেতে বেরিয়েছি। নোভা হোটেলে।
হঠাৎ একজন ফোন দিয়ে বললো, 'বড়দা মিঠুর (মাহমুদুল ইসলাম মিঠু) সঙ্গে রায়হান খানের তুমুল ঝগড়া লেগেছে। খুব খারাপ অবস্থা। শুটিং হবে না। বাংলাদেশে ফিরে যেতে হবে।' কথাটা শুনে আমাদের মন খারাপ হয়ে গেলো। দৌড়ে ছুটে গেলাম হোটেলে। গিয়ে দেখি যা শুনেছি তার চেয়েও গুরুতর অবস্থা। দুটো গ্রুপ হয়ে গেছে। তারা দুজন দুজনকে বকাবকি করছে। দেড় ঘণ্টা যাবৎ বকাবকি চলছে। আমরা ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু কোনো ফল হলো না। তারা একে অপরকে বকাবকি করেই চলেছে। এক পযর্ায়ে মারামারি হতে নেবে, তখনি আমাদের অবাক করে দিয়ে ছেলেরা হেসে ফেললো। আমি কিছু বুঝে উঠতে পারলাম না। আধঘণ্টা ধরে আমি হতবাক হয়ে রইলাম। ছেলেরা বললো, বিন্দু গেছে। ওর চোখমুখের অবস্থা দেখো! তখনো কিছু বুঝতে পারছি না।
পরে বুঝলাম, ছেলেরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আমাদের বোকা বানাবে। বড়দা মিঠু ও রায়হান ভাইয়ের ঝগড়াটা ছিল সাজানো। তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। আমরা বোকা বনে গেছি। এখনো সেকথা মনে পড়লে ভাবতে অবাক লাগে। সেদিন আমরা মেয়েরা যে কি অবস্থায় পড়েছি তা বলে বোঝানো যাবে না। আসলে আমরা যারা মিডিয়ায় কাজ করি, তারা সবাই একই পরিবারের সদস্যদের মতো। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া বাধলে কোনো পক্ষে না গিয়ে নিরপেক্ষ হয়ে ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করতে হয়। আমরা ঠিক তাই করেছি।
আসলে সেদিনই আমরা আরো বুঝতে পেরেছি, পরিবারের সকল সদস্যদের কতোটুকু বন্ধন থাকে।
অনুলিখন : আই ফারুকী
No comments:
Post a Comment