26 April 2011

ভাবনা’র মনের ভেতর বহুদূরের পথ


মাত্র তিন মিনিটের একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং করতে সময় লেগেছে টানা ৩৬ দিন। ঘুরতে হয়েছে পুরো দেশ। মুঠোফোন প্রতিষ্ঠান রবি’র বর্ষপূর্তির বিজ্ঞাপনচিত্রের গল্প এটি। যার অন্যতম মডেল ভাবনা। বিজ্ঞাপনচিত্রটি দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন তিনি। এতে মূলত কাজ করেছেন ৬ জন মডেল, তবে মূল ফোকাসটা ছিল ভাবনাকে ঘিরেই। বিজ্ঞাপন নির্মাণের মোট ৩৬ দিনের মধ্যে টানা আট দিন কাটাতে হয়েছে লঞ্চে, যা ভাবনার জন্য নতুন এক ধরনের অভিজ্ঞতা। এর আগে কোনদিনও তিনি লঞ্চে চড়েননি। এ প্রসঙ্গে ভাবনা বলেন, প্রথমে লঞ্চে চড়ার অফার পেয়ে খুব আগ্রহের সঙ্গেই রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু লঞ্চে ওঠার আগ মুহূর্তে মনে মনে অনেক আতঙ্ক কাজ করছিল। চড়ার পর আতঙ্ক ধীরে ধীরে কেটে যায়। অনেক আনন্দময় এ জার্নি ছিল ঢাকা থেকে সুদূর সুন্দরবন পর্যন্ত। সবচেয়ে বড় কথা, এ বিজ্ঞাপনে পুরো দেশ ঘুরে দেখার সুযোগ হয়েছে। বিজ্ঞাপন তো করা হয়েছে, ইতিমধ্যে সব টিভি চ্যানেলেও এটি প্রচার হচ্ছে। কেমন সাড়া পাচ্ছেন এমন প্রশ্নে ভাবনা বলেন, এ ধরনের বিজ্ঞাপন বাংলাদেশে এটিই সম্ভবত প্রথম। সাড়া কেমন পাচ্ছি সেটা বলে প্রকাশ করা যাবে না। অনুভূতিটা এখন স্বপ্নের কাছাকাছি। এ বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিং শেষ করেই ভাবনা মন বসিয়েছেন পরীক্ষার টেবিলে। তিনি এবার রাইফেলস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে আর্টস বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন। পরীক্ষা শেষ হবে আগামী মাসের ১০ তারিখে। তাতে কি? পরীক্ষার ফাঁকেই ভাবনা’র কাজের ধারা অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে উপস্থাপক হিসেবে শুটিং শুরু করেছেন এটিএন বাংলার নতুন মিউজিক্যাল অনুষ্ঠান ‘সুরের মাধুরী’র। সাপ্তাহিক এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ভাবনার উপস্থাপনার ক্যারিয়ার শুরু। এদিকে ৫ই মে থেকে শুটিং শুরু করছেন আশুতোষ সুজনের নতুন ধারাবাহিক ‘রেড ড্রাগন’-এর। পরীক্ষার আগেই শুটিং সম্পন্ন করেছেন দু’টি ধারাবাহিকের। একটি শরাফ আহমেদ জীবনের ‘কামিং সুন’, অন্যটি শওকত আলী রানার ‘মুন্নুজান’। পরীক্ষা শেষ হলেই কফির একটি নতুন বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হওয়ার কথা রয়েছে তার। একদিকে পরীক্ষা অন্যদিকে নিয়মিত শুটিং-সিডিউল ঠিক রাখা প্রসঙ্গে ভাবনার মন্তব্য- এর মধ্যে ছয় বিষয়ের পরীক্ষা শেষ করেছি। খুব ভাল হয়েছে। বাকি আছে আরও ছয় বিষয়। আশা করছি এগুলোও ভাল হবে। পরীক্ষার আগে প্রস্তুতিটা ভাল ছিল। তাছাড়া পড়াশোনা নষ্ট করে কোন শুটিং করছি না, সিডিউল দিচ্ছি না। পড়াশোনা আর পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকেই কাজগুলো করছি। আগেও যে আমি খুব বেশি কাজ করেছি তা না, এখনও অনেক বেছে বেছে পছন্দসই কাজগুলোই করছি। কারণ, আমার মনের ভেতর জেগে আছে বহুদূরের পথ। সুতরাং কোন কিছুতেই তাড়াহুড়া নেই আমার।

No comments:

Post a Comment