বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন অভিনেত্রী অপি করিম। প্রশংসিত নাট্য নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের সঙ্গে তার বিয়ে হলো গত ২রা সেপ্টেম্বর। ঢাকার শ্যামলিয়াস্থ অপির বাবার বাসায় পারিবারিকভাবে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুই পরিবারের নিকটাত্মীয়রা। জানা যায়, গেল প্রায় এক বছরের প্রেমের ফসল এই বিয়ে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর তেমন কোন আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই অপি করিমকে তুলে নেয়া হয় মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের পান্থপথের বাসায়। সেখানেই তারা সংসার জীবন শুরু করেছেন। আরও জানা যায়, আসন্ন ডিসেম্বর বড়োসড়ো আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে অপি-মাসুদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনার পরিকল্পনা রয়েছে। উল্লেখ্য, অপি করিম জার্মানিতে ল্যান্ডস্কেপ আর্কিটেকচার বিষয়ে পড়াশোনা করছেন গেল প্রায় এক বছর ধরে। সমপ্রতি বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে গেল ২৪শে আগস্ট প্রায় এক মাসের ছুটি নিয়ে দেশে ফিরেছেন তিনি। শুধু তাই নয় গেল প্রায় এক বছরে অপি করিম অভিনীত বেশির ভাগ নাটকের নির্মাতা ছিলেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। অর্থাৎ অপি করিম জার্মানি থেকে কয়েকদিনের ছুটিতে ঢাকায় আসা মানে মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের নাটকে শুটিং করা- এমনটাই নিয়মে দাঁড়িয়েছিল। শুধু তাই নয়, শেষ দিকে এসে অন্য কোন নাট্য নির্মাতা শত তদবির করেও অপির সিডিউল পেতেন না। আর এসব মিলিয়ে ছয় মাস ধরে দু’জনার প্রেমের গুঞ্জন বাজারে প্রচলিত থাকলেও বরাবরই অস্বীকার করেছেন দু’জনে। বলেছেন এগুলো স্রেফ গুঞ্জন, ভিত্তিহীন। তবে গতকাল বিয়ের অভিনন্দন জানাতেই অপি করিম মিষ্টি হেসে বলেন, ধন্যবাদ। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। তিনি আরও বলেন, আমরা একসঙ্গে বেশ কিছু ভাল টিভি প্রোডাকশন করেছি। সে সূত্রে দু’জনার প্রতি দু’জনার আত্মবিশ্বাস এবং মায়া জন্মেছে। একটা সময় মাসুদ নিজে থেকেই বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আমি হুট করে হ্যাঁ-না কিছুই বলিনি। তবে এটুকু বলেছি, যা করার সেটা ভেবেচিন্তে সময় নিয়ে করা উচিত। মাসুদও এই যুক্তিটা তখন মেনে নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, জার্মানিতে বসে এই বিষয়টি নিয়ে আমি অনেক ভেবেছি। অনেক কাছের বন্ধুর সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করেছি। এবং গত মাসের শেষ সপ্তাহে এসে আমরা দু’জনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিই বিয়ের। দেশে ফিরে সোজা দুই পরিবারকে আমাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাই। এর পর দুই পরিবার মিলে ২রা সেপ্টেম্বর শুভ কাজটির আয়োজন করে। এদিকে মাসুদ হাসান উজ্জ্বল ও অপির কথায় সায় দিয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছে নতুন জীবনের সমৃদ্ধির জন্য। উল্লেখ্য, তরুণ নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন। এখন ব্যস্ত আছেন নাটক, টেলিছবি ও বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ নিয়ে। উজ্জ্বলের পরিচালনায় অপি করিমের উল্লেখযোগ্য কাজ হলো তিতির সুখ, অক্ষয় কোম্পানির জুতো, ছায়াচোখ, জলছাপ, সাদাআলো সাদাকালো, ছায়াফেরী, যে জীবন ফড়িংয়ের, থতমত এই শহরে প্রভৃতি। অন্যদিকে অপি করিম এখন জার্মানিতে পড়াশোনা করলেও শিগগিরই তিনি চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ করে দেশে ফিরবেন স্থায়ীভাবে। পরিকল্পনা রয়েছে দেশে ফিরে অভিনয়ের পাশাপাশি আর্কিটেক্ট বিদ্যাটাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে কোমর বেঁধে নামবেন।
18 September 2011
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment